বাংলা
Surah আত-তাকবীর - Aya count 42
عَبَسَ وَتَوَلَّىٰ
( 1 ) 
তিনি ভ্রূকুঞ্চিত করলেন এবং মুখ ফিরিয়ে নিলেন।
أَن جَاءَهُ الْأَعْمَىٰ
( 2 ) 
কারণ, তাঁর কাছে এক অন্ধ আগমন করল।
وَمَا يُدْرِيكَ لَعَلَّهُ يَزَّكَّىٰ
( 3 ) 
আপনি কি জানেন, সে হয়তো পরিশুদ্ধ হত,
أَوْ يَذَّكَّرُ فَتَنفَعَهُ الذِّكْرَىٰ
( 4 ) 
অথবা উপদেশ গ্রহণ করতো এবং উপদেশ তার উপকার হত।
أَمَّا مَنِ اسْتَغْنَىٰ
( 5 ) 
পরন্তু যে বেপরোয়া,
فَأَنتَ لَهُ تَصَدَّىٰ
( 6 ) 
আপনি তার চিন্তায় মশগুল।
وَمَا عَلَيْكَ أَلَّا يَزَّكَّىٰ
( 7 ) 
সে শুদ্ধ না হলে আপনার কোন দোষ নেই।
وَأَمَّا مَن جَاءَكَ يَسْعَىٰ
( 8 ) 
যে আপনার কাছে দৌড়ে আসলো
وَهُوَ يَخْشَىٰ
( 9 ) 
এমতাবস্থায় যে, সে ভয় করে,
فَأَنتَ عَنْهُ تَلَهَّىٰ
( 10 ) 
আপনি তাকে অবজ্ঞা করলেন।
كَلَّا إِنَّهَا تَذْكِرَةٌ
( 11 ) 
কখনও এরূপ করবেন না, এটা উপদেশবানী।
فَمَن شَاءَ ذَكَرَهُ
( 12 ) 
অতএব, যে ইচ্ছা করবে, সে একে গ্রহণ করবে।
فِي صُحُفٍ مُّكَرَّمَةٍ
( 13 ) 
এটা লিখিত আছে সম্মানিত,
مَّرْفُوعَةٍ مُّطَهَّرَةٍ
( 14 ) 
উচ্চ পবিত্র পত্রসমূহে,
بِأَيْدِي سَفَرَةٍ
( 15 ) 
লিপিকারের হস্তে,
كِرَامٍ بَرَرَةٍ
( 16 ) 
যারা মহৎ, পূত চরিত্র।
قُتِلَ الْإِنسَانُ مَا أَكْفَرَهُ
( 17 ) 
মানুষ ধ্বংস হোক, সে কত অকৃতজ্ঞ!
مِنْ أَيِّ شَيْءٍ خَلَقَهُ
( 18 ) 
তিনি তাকে কি বস্তু থেকে সৃষ্টি করেছেন?
مِن نُّطْفَةٍ خَلَقَهُ فَقَدَّرَهُ
( 19 ) 
শুক্র থেকে তাকে সৃষ্টি করেছেন, অতঃপর তাকে সুপরিমিত করেছেন।
ثُمَّ السَّبِيلَ يَسَّرَهُ
( 20 ) 
অতঃপর তার পথ সহজ করেছেন,
ثُمَّ أَمَاتَهُ فَأَقْبَرَهُ
( 21 ) 
অতঃপর তার মৃত্যু ঘটান ও কবরস্থ করেন তাকে।
ثُمَّ إِذَا شَاءَ أَنشَرَهُ
( 22 ) 
এরপর যখন ইচ্ছা করবেন তখন তাকে পুনরুজ্জীবিত করবেন।
كَلَّا لَمَّا يَقْضِ مَا أَمَرَهُ
( 23 ) 
সে কখনও কৃতজ্ঞ হয়নি, তিনি তাকে যা আদেশ করেছেন, সে তা পূর্ণ করেনি।
فَلْيَنظُرِ الْإِنسَانُ إِلَىٰ طَعَامِهِ
( 24 ) 
মানুষ তার খাদ্যের প্রতি লক্ষ্য করুক,
أَنَّا صَبَبْنَا الْمَاءَ صَبًّا
( 25 ) 
আমি আশ্চর্য উপায়ে পানি বর্ষণ করেছি,
ثُمَّ شَقَقْنَا الْأَرْضَ شَقًّا
( 26 ) 
এরপর আমি ভূমিকে বিদীর্ণ করেছি,
فَأَنبَتْنَا فِيهَا حَبًّا
( 27 ) 
অতঃপর তাতে উৎপন্ন করেছি শস্য,
وَعِنَبًا وَقَضْبًا
( 28 ) 
আঙ্গুর, শাক-সব্জি,
وَزَيْتُونًا وَنَخْلًا
( 29 ) 
যয়তুন, খর্জূর,
وَحَدَائِقَ غُلْبًا
( 30 ) 
ঘন উদ্যান,
وَفَاكِهَةً وَأَبًّا
( 31 ) 
ফল এবং ঘাস
مَّتَاعًا لَّكُمْ وَلِأَنْعَامِكُمْ
( 32 ) 
তোমাদেরও তোমাদের চতুস্পদ জন্তুদের উপাকারার্থে।
فَإِذَا جَاءَتِ الصَّاخَّةُ
( 33 ) 
অতঃপর যেদিন কর্ণবিদারক নাদ আসবে,
يَوْمَ يَفِرُّ الْمَرْءُ مِنْ أَخِيهِ
( 34 ) 
সেদিন পলায়ন করবে মানুষ তার ভ্রাতার কাছ থেকে,
وَأُمِّهِ وَأَبِيهِ
( 35 ) 
তার মাতা, তার পিতা,
وَصَاحِبَتِهِ وَبَنِيهِ
( 36 ) 
তার পত্নী ও তার সন্তানদের কাছ থেকে।
لِكُلِّ امْرِئٍ مِّنْهُمْ يَوْمَئِذٍ شَأْنٌ يُغْنِيهِ
( 37 ) 
সেদিন প্রত্যেকেরই নিজের এক চিন্তা থাকবে, যা তাকে ব্যতিব্যস্ত করে রাখবে।
وُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ مُّسْفِرَةٌ
( 38 ) 
অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে উজ্জ্বল,
ضَاحِكَةٌ مُّسْتَبْشِرَةٌ
( 39 ) 
সহাস্য ও প্রফুল্ল।
وَوُجُوهٌ يَوْمَئِذٍ عَلَيْهَا غَبَرَةٌ
( 40 ) 
এবং অনেক মুখমন্ডল সেদিন হবে ধুলি ধূসরিত।
تَرْهَقُهَا قَتَرَةٌ
( 41 ) 
তাদেরকে কালিমা আচ্ছন্ন করে রাখবে।
أُولَٰئِكَ هُمُ الْكَفَرَةُ الْفَجَرَةُ
( 42 ) 
তারাই কাফের পাপিষ্ঠের দল।